14 Days Itikaf Umrah Packages
14 Days Itikaf Umrah Packages
ইকোনোমি ইতিকাফ উমরাহ প্যাকেজে মক্কা হোটেল ৭০০ মিটার ও মদিনা হোটেল ৭০০ মিটার দূরত্বের প্যাকেজগুলোর সুবিধা সাধারণত একটু মানসম্মত হয়ে থাকে। সাধারণত এই ধরনের প্যাকেজে যে সুবিধাগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকে তা হলো:
১. ফ্লাইট ও পরিবহন
- ফ্লাইট: প্রিমিয়াম এয়ারলাইন্স এর ইকোনমি ক্লাস টিকেট (ট্রান্জিট ফ্লাইট)।
- এয়ারপোর্ট ট্রান্সফার: মক্কা এবং মদিনা উভয় শহরে লাক্সারি বাসের মাধ্যমে এয়ারপোর্ট ট্রান্সফার এবং আরামদায়ক আসন, যা দীর্ঘ যাত্রার সময়ে আপনাকে সান্ত্বনা প্রদান করে।
২. হোটেল বুকিং
- মক্কায়: হারাম শরীফের চত্বরের বহির প্রান্ত থেকে ৭০০ মিটার দূরত্বে অবস্থিত ২ ষ্টার মানের হোটেল, আজিয়াদ রোড/ইব্রাহিম খলিল রোডের সাথে মুন্সিয়া/হিজরা রোডে এ হবে ।
- মদিনায়: মসজিদে নববীর চত্বরের বহির প্রান্ত থেকে ৭০০ মিটার দূরত্বে অবস্থিত ২ ষ্টার মানের হোটেল (যেমন: লুলু কোবা হোটেল, বেলার মসজিদের কাছাকাছি/কোবা রোড হতে পারে।
- রুম সার্ভিস: ২৪/৭ রুম সার্ভিস যা অতিথিদের পছন্দের খাবার তাদের রুমে সরবরাহ করবে।
৩. ইবাদতের জন্য বিশেষ সুবিধা
- থাকার সুবিধা: হোটেলটি হারাম শরীফ বা মসজিদে নববী থেকে একটু দূরে হলেও কষ্টসাধ্য মনে হয় না, অনেক হাজী নামাজের পর ধীরে ধীরে আল্লাহর নাম জপতে জপতে চলেন। এটি মূলত ইবাদত ও ধ্যানের একটি অংশ, যা তাদের আল্লাহকে স্মরণে রাখে। ইসলামে আল্লাহর নাম জপা (যিকির) খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত হিসেবে গণ্য হয়, এবং হাজীরা তা পালন করে আল্লাহর কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করেন। পবিত্র স্থানগুলিতে একত্রে এই যিকির করার ফলে এটি আরও বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে।
- যাতায়াতের সুবিধা: হাজীরা হজের সময় ধৈর্য ও সংযমের অনুশীলন করেন, এবং কিছুটা দূরে হেঁটে যাওয়া সেই আচার-অনুষ্ঠানেরই একটি অংশ হিসেবে দেখা যেতে পারে। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য এই ধরণের ছোটখাটো কষ্ট বা পরিশ্রমকে অনেকে ভালোভাবে গ্রহণ করেন।
- বিরতির সুযোগ: হোটেলটি দূরে হলেও হাজীরা সাধারণত হোটেলে ফিরে কিছুটা বিশ্রাম নিয়ে আবার ইবাদতের জন্য মসজিদে ফিরে যান। বিশ্রামের মাধ্যমে শরীরের ক্লান্তি দূর হওয়ার পর, নতুন উদ্যমে ইবাদত করা সহজ হয়ে যায়। হাজীরা হজের সময় অনেক সময় ধরে ইবাদত ও চলাফেরা করে থাকেন, তাই বিশ্রাম একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি তাঁদের জন্য ইবাদতের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে, বিশেষ করে যারা কিছুটা দূরে অবস্থান করেন।
৪. সুবিধাজনক অবস্থান
- হোটেলের অবস্থান:
হোটেলটি একটু দূরে হলেও সুবিধাজনক অবস্থানে থাকে। হজ পালনকারীদের জন্য হোটেলগুলো সাধারণত এমনভাবে বাছাই করা হয় যাতে পরিবহন বা হাঁটার সুবিধা থাকে। অনেক হোটেলের কাছাকাছি বাস বা শাটল সার্ভিস থাকে, যা হাজীদের মসজিদে সহজে পৌঁছাতে সাহায্য করে। এছাড়াও, যদি হোটেলটি নিরিবিলি জায়গায় হয়, তবে সেটি বিশ্রাম এবং ইবাদতের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে পারে। তাই দূরত্ব থাকা সত্ত্বেও, সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে ইবাদতের সময়সূচি মেনে চলা বেশ সহজ হয়।
৫. বিশেষ সুবিধা
- ফ্রি ওয়াইফাই: হোটেলে উচ্চগতির ইন্টারনেটের সুবিধা।
৬. বীমা ও সুরক্ষা
- ভ্রমণ বীমা: উমরাহ ভ্রমণের জন্য বিশেষ বীমা প্যাকেজ যা মেডিকেল, ভ্রমণ এবং অন্যান্য জরুরী পরিস্থিতির কভারেজ প্রদান করে।
- নিরাপত্তা ব্যবস্থা: প্রতিটি হোটেলে ২৪/৭ নিরাপত্তা এবং হেল্পলাইন সেবা।
কোরআন–হাদিসে ইতিকাফ সম্পর্কে যা বলা হয়েছে
বিশেষ নিয়তে বিশেষ অবস্থায় আল্লাহ তাআলার আনুগত্যের উদ্দেশ্যে মসজিদে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে। ইতিকাফরত অবস্থায় বান্দা নিজেকে আল্লাহর ইবাদতের জন্য দুনিয়ার অন্য সব কিছু থেকে আলাদা করে নেয়। ঐকান্তিকভাবে মশগুল হয়ে পড়ে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের নিরন্তর সাধনায়।
ইতিকাফের মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শাহ ওয়ালি উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভি (রহ.) বলেন, ‘মসজিদে ইতিকাফ হচ্ছে হৃদয়ের প্রশান্তি, আত্মার পবিত্রতা ও চিত্তের নিষ্কলুষতা; চিন্তার পরিচ্ছন্নতা ও বিশুদ্ধতা।
ফেরেশতাকুলের গুণাবলি অর্জন এবং লাইলাতুল কদরের সৌভাগ্য ও কল্যাণ লাভসহ সব ধরনের ইবাদতের সুযোগ লাভের সর্বোত্তম উপায়। এ জন্য রাসুল (সা.) নিজে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ইতিকাফ পালন করেছেন এবং তার বিবিরাসহ সাহাবায়ে কেরামের অনেকেই এই সুন্নতের ওপর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমল করেছেন।’ (হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা : ২/৪২)
পবিত্র কোরআনুল কারিমে ইতিকাফ–প্রসঙ্গ
পবিত্র কোরআনে হজরত ইবরাহিম (আ.) ও ইসমাইল (আ.)-এর কথা উল্লেখ করে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে আদেশ করলাম, তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকু-সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র করো। ’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১২৫)
ইতিকাফ অবস্থায় স্ত্রীদের সঙ্গে কী আচরণ হবে, এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমরা মসজিদে ইতিকাফকালে স্ত্রীদের সঙ্গে মেলামেশা করো না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৭)
হাদিস শরিফে ইতিকাফ–প্রসঙ্গ
আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর অসংখ্য হাদিস ইতিকাফ সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে। কয়েকটি হাদিস এখানে উল্লেখ করা হলো—
ইবনে উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন।’ (মুসলিম, হাদিস নম্বর ১১৭১)
মদিনায় অবস্থানকালে রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতিবছরই ইতিকাফ পালন করেছেন। শত ব্যস্ততা সত্ত্বেও রমজানে তিনি ইতিকাফ ছাড়েননি। আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুল (সা.) প্রতি রমজানে ১০ দিন ইতিকাফ করতেন, তবে যে বছর তিনি ইন্তেকাল করেন, সে বছর তিনি ২০ দিন ইতিকাফে কাটান।’ (বুখারি, হাদিস : ১৯০৩)
ইতিকাফ একটি মহৎ ইবাদত। এ ইবাদত স্বেচ্ছায় পালনীয়। ইসলামী শরিয়তে বিনিময় দিয়ে ভাড়া করে ইবাদত করানোর সুযোগ নেই। টাকার বিনিময়ে ইতিকাফ করা ও করানো সম্পূর্ণ নাজায়েজ। এভাবে ইতিকাফ করানোর মাধ্যমে মহল্লাবাসী দায়মুক্ত হয় না। (রদ্দুল মুহতার : ২/৫৯৫, ফাতাওয়া মাহমুদিয়া : ১৭/১৭১)
14 Days Itikaf Umrah Packages, Hotel Distance 700+700 Meter
এই প্যাকেজটি এয়ারলাইন্সের ফেয়ার এবং সৌদি আরবের হোটেল ভাড়ার উপর পরিবর্তনশীল।
- এয়ার টিকেট: এই প্যাকেজটি ট্রান্জিট ফ্লাইট দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, (ডিরেক্ট ফ্লাইট এর ক্ষেত্রে প্যাকেজ প্রতি ১০-১৫ হাজার টাকা ব্যবধান হতে পারে।
- উমরাহ ভিসা
- মক্কাতে মসজিদুল হারাম চত্বরের বহির প্রান্ত থেকে ৭০০ মিটার দূরত্বে ২ ষ্টার মানের হোটেল, যেমন: Maather Elite Hotel/) বা এই সমমানের অন্য যে কোন হোটেল।
- মদিনাতে মসজিদে নববীর চত্বরের বহির প্রান্ত থেকে ৭০০ মিটার দূরত্বে ২স্টার মানের হোটেল (LULUT QUBA 3/বেলাল মসজিদ অথবা কুবা রোডে) এই সমমানের অন্য যে কোন হোটেল।
- ট্রান্সপোর্ট রুট (Jeddah To Makkah Hotel, Makkah Hotel To Madinah Hotel & Madinah Hotel To Madinah Airport)
- ট্রান্সপোর্ট:মক্কা থেকে মদিনা হোটেল এবং মক্কা-মদিনা উভয় শহরে লাক্সারি বাসের মাধ্যমে এয়ারপোর্ট ট্রান্সফার এবং আরামদায়ক আসন, যা দীর্ঘ যাত্রার সময়ে আপনাকে সান্ত্বনা প্রদান করবে ইনশাআল্লাহ। (শেয়ার বাসের ক্ষেত্রে সর্ব নিম্ন ৫ জন এক সাথে ট্রাভেল করতে হবে অন্যথায় শেয়ার বাস পাবেন না সৌদি উমরাহ কোম্পানি নিয়ম অনুযায়ী।
- এই প্যাকেজটি যেহেতু ইতিকাফ এর উদ্দেশ্যে সাজানো সুতরাং প্রথম ১০ দিন মক্কা অথবা মদিনা যে কোন স্থানে থাকতে হবে, অবশিষ্ট ৪ দিন আপনার অবস্থান এর উপর নির্ভর করবে। চাইলে সফর সময় বৃদ্ধি করতে পারবেন সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চার্জ প্রযোজ্য হবে।
আপনাদের চাহিদানুযায়ী উমরাহ্ প্যাকেজ অথবা অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আমাদের ওয়েব সাইট এ দেওয়া নাম্বারে যোগাযোগ করুন অথবা অফিস ভিজিট করে আরও বিস্তারিত জানার অনুরোধ রইলো।
ধন্যবাদান্তে বাইতুল্লাহ সফরে আপনার বিশ্বস্ত সহযোগী
(আফিয়া ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম)
যোগাযোগ:
- 09609-010109
- 01724-306402
- 01711-074552
প্যাকেজ মূল্য আলোচনা সাপেক্ষে, দয়া করে নিচের নাম্বার এ যোগাযোগ করুন।
(আফিয়া ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম)
যোগাযোগ:
- 09609-010109
- 01724-306402
- 01711-074552
ইকোনোমি ইতিকাফ উমরাহ প্যাকেজে মক্কা হোটেল ৭০০ মিটার ও মদিনা হোটেল ৭০০ মিটার দূরত্বের প্যাকেজগুলোর সুবিধা সাধারণত একটু মানসম্মত হয়ে থাকে। সাধারণত এই ধরনের প্যাকেজে যে সুবিধাগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকে তা হলো:
১. ফ্লাইট ও পরিবহন
- ফ্লাইট: প্রিমিয়াম এয়ারলাইন্স এর ইকোনমি ক্লাস টিকেট (ট্রান্জিট ফ্লাইট)।
- এয়ারপোর্ট ট্রান্সফার: মক্কা এবং মদিনা উভয় শহরে লাক্সারি বাসের মাধ্যমে এয়ারপোর্ট ট্রান্সফার এবং আরামদায়ক আসন, যা দীর্ঘ যাত্রার সময়ে আপনাকে সান্ত্বনা প্রদান করে।
২. হোটেল বুকিং
- মক্কায়: হারাম শরীফের চত্বরের বহির প্রান্ত থেকে ৭০০ মিটার দূরত্বে অবস্থিত ২ ষ্টার মানের হোটেল, আজিয়াদ রোড/ইব্রাহিম খলিল রোডের সাথে মুন্সিয়া/হিজরা রোডে এ হবে ।
- মদিনায়: মসজিদে নববীর চত্বরের বহির প্রান্ত থেকে ৭০০ মিটার দূরত্বে অবস্থিত ২ ষ্টার মানের হোটেল (যেমন: লুলু কোবা হোটেল, বেলার মসজিদের কাছাকাছি/কোবা রোড হতে পারে।
- রুম সার্ভিস: ২৪/৭ রুম সার্ভিস যা অতিথিদের পছন্দের খাবার তাদের রুমে সরবরাহ করবে।
৩. ইবাদতের জন্য বিশেষ সুবিধা
- থাকার সুবিধা: হোটেলটি হারাম শরীফ বা মসজিদে নববী থেকে একটু দূরে হলেও কষ্টসাধ্য মনে হয় না, অনেক হাজী নামাজের পর ধীরে ধীরে আল্লাহর নাম জপতে জপতে চলেন। এটি মূলত ইবাদত ও ধ্যানের একটি অংশ, যা তাদের আল্লাহকে স্মরণে রাখে। ইসলামে আল্লাহর নাম জপা (যিকির) খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত হিসেবে গণ্য হয়, এবং হাজীরা তা পালন করে আল্লাহর কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করেন। পবিত্র স্থানগুলিতে একত্রে এই যিকির করার ফলে এটি আরও বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে।
- যাতায়াতের সুবিধা: হাজীরা হজের সময় ধৈর্য ও সংযমের অনুশীলন করেন, এবং কিছুটা দূরে হেঁটে যাওয়া সেই আচার-অনুষ্ঠানেরই একটি অংশ হিসেবে দেখা যেতে পারে। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য এই ধরণের ছোটখাটো কষ্ট বা পরিশ্রমকে অনেকে ভালোভাবে গ্রহণ করেন।
- বিরতির সুযোগ: হোটেলটি দূরে হলেও হাজীরা সাধারণত হোটেলে ফিরে কিছুটা বিশ্রাম নিয়ে আবার ইবাদতের জন্য মসজিদে ফিরে যান। বিশ্রামের মাধ্যমে শরীরের ক্লান্তি দূর হওয়ার পর, নতুন উদ্যমে ইবাদত করা সহজ হয়ে যায়। হাজীরা হজের সময় অনেক সময় ধরে ইবাদত ও চলাফেরা করে থাকেন, তাই বিশ্রাম একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি তাঁদের জন্য ইবাদতের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে, বিশেষ করে যারা কিছুটা দূরে অবস্থান করেন।
৪. সুবিধাজনক অবস্থান
- হোটেলের অবস্থান:
হোটেলটি একটু দূরে হলেও সুবিধাজনক অবস্থানে থাকে। হজ পালনকারীদের জন্য হোটেলগুলো সাধারণত এমনভাবে বাছাই করা হয় যাতে পরিবহন বা হাঁটার সুবিধা থাকে। অনেক হোটেলের কাছাকাছি বাস বা শাটল সার্ভিস থাকে, যা হাজীদের মসজিদে সহজে পৌঁছাতে সাহায্য করে। এছাড়াও, যদি হোটেলটি নিরিবিলি জায়গায় হয়, তবে সেটি বিশ্রাম এবং ইবাদতের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে পারে। তাই দূরত্ব থাকা সত্ত্বেও, সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে ইবাদতের সময়সূচি মেনে চলা বেশ সহজ হয়।
৫. বিশেষ সুবিধা
- ফ্রি ওয়াইফাই: হোটেলে উচ্চগতির ইন্টারনেটের সুবিধা।
৬. বীমা ও সুরক্ষা
- ভ্রমণ বীমা: উমরাহ ভ্রমণের জন্য বিশেষ বীমা প্যাকেজ যা মেডিকেল, ভ্রমণ এবং অন্যান্য জরুরী পরিস্থিতির কভারেজ প্রদান করে।
- নিরাপত্তা ব্যবস্থা: প্রতিটি হোটেলে ২৪/৭ নিরাপত্তা এবং হেল্পলাইন সেবা।
কোরআন–হাদিসে ইতিকাফ সম্পর্কে যা বলা হয়েছে
বিশেষ নিয়তে বিশেষ অবস্থায় আল্লাহ তাআলার আনুগত্যের উদ্দেশ্যে মসজিদে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে। ইতিকাফরত অবস্থায় বান্দা নিজেকে আল্লাহর ইবাদতের জন্য দুনিয়ার অন্য সব কিছু থেকে আলাদা করে নেয়। ঐকান্তিকভাবে মশগুল হয়ে পড়ে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের নিরন্তর সাধনায়।
ইতিকাফের মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শাহ ওয়ালি উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভি (রহ.) বলেন, ‘মসজিদে ইতিকাফ হচ্ছে হৃদয়ের প্রশান্তি, আত্মার পবিত্রতা ও চিত্তের নিষ্কলুষতা; চিন্তার পরিচ্ছন্নতা ও বিশুদ্ধতা।
ফেরেশতাকুলের গুণাবলি অর্জন এবং লাইলাতুল কদরের সৌভাগ্য ও কল্যাণ লাভসহ সব ধরনের ইবাদতের সুযোগ লাভের সর্বোত্তম উপায়। এ জন্য রাসুল (সা.) নিজে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ইতিকাফ পালন করেছেন এবং তার বিবিরাসহ সাহাবায়ে কেরামের অনেকেই এই সুন্নতের ওপর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমল করেছেন।’ (হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা : ২/৪২)
পবিত্র কোরআনুল কারিমে ইতিকাফ–প্রসঙ্গ
পবিত্র কোরআনে হজরত ইবরাহিম (আ.) ও ইসমাইল (আ.)-এর কথা উল্লেখ করে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে আদেশ করলাম, তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকু-সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র করো। ’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১২৫)
ইতিকাফ অবস্থায় স্ত্রীদের সঙ্গে কী আচরণ হবে, এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমরা মসজিদে ইতিকাফকালে স্ত্রীদের সঙ্গে মেলামেশা করো না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৭)
হাদিস শরিফে ইতিকাফ–প্রসঙ্গ
আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর অসংখ্য হাদিস ইতিকাফ সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে। কয়েকটি হাদিস এখানে উল্লেখ করা হলো—
ইবনে উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন।’ (মুসলিম, হাদিস নম্বর ১১৭১)
মদিনায় অবস্থানকালে রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতিবছরই ইতিকাফ পালন করেছেন। শত ব্যস্ততা সত্ত্বেও রমজানে তিনি ইতিকাফ ছাড়েননি। আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুল (সা.) প্রতি রমজানে ১০ দিন ইতিকাফ করতেন, তবে যে বছর তিনি ইন্তেকাল করেন, সে বছর তিনি ২০ দিন ইতিকাফে কাটান।’ (বুখারি, হাদিস : ১৯০৩)
ইতিকাফ একটি মহৎ ইবাদত। এ ইবাদত স্বেচ্ছায় পালনীয়। ইসলামী শরিয়তে বিনিময় দিয়ে ভাড়া করে ইবাদত করানোর সুযোগ নেই। টাকার বিনিময়ে ইতিকাফ করা ও করানো সম্পূর্ণ নাজায়েজ। এভাবে ইতিকাফ করানোর মাধ্যমে মহল্লাবাসী দায়মুক্ত হয় না। (রদ্দুল মুহতার : ২/৫৯৫, ফাতাওয়া মাহমুদিয়া : ১৭/১৭১)
14 Days Itikaf Umrah Packages, Hotel Distance 700+700 Meter
এই প্যাকেজটি এয়ারলাইন্সের ফেয়ার এবং সৌদি আরবের হোটেল ভাড়ার উপর পরিবর্তনশীল।
- এয়ার টিকেট: এই প্যাকেজটি ট্রান্জিট ফ্লাইট দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, (ডিরেক্ট ফ্লাইট এর ক্ষেত্রে প্যাকেজ প্রতি ১০-১৫ হাজার টাকা ব্যবধান হতে পারে।
- উমরাহ ভিসা
- মক্কাতে মসজিদুল হারাম চত্বরের বহির প্রান্ত থেকে ৭০০ মিটার দূরত্বে ২ ষ্টার মানের হোটেল, যেমন: Maather Elite Hotel/) বা এই সমমানের অন্য যে কোন হোটেল।
- মদিনাতে মসজিদে নববীর চত্বরের বহির প্রান্ত থেকে ৭০০ মিটার দূরত্বে ২স্টার মানের হোটেল (LULUT QUBA 3/বেলাল মসজিদ অথবা কুবা রোডে) এই সমমানের অন্য যে কোন হোটেল।
- ট্রান্সপোর্ট রুট (Jeddah To Makkah Hotel, Makkah Hotel To Madinah Hotel & Madinah Hotel To Madinah Airport)
- ট্রান্সপোর্ট:মক্কা থেকে মদিনা হোটেল এবং মক্কা-মদিনা উভয় শহরে লাক্সারি বাসের মাধ্যমে এয়ারপোর্ট ট্রান্সফার এবং আরামদায়ক আসন, যা দীর্ঘ যাত্রার সময়ে আপনাকে সান্ত্বনা প্রদান করবে ইনশাআল্লাহ। (শেয়ার বাসের ক্ষেত্রে সর্ব নিম্ন ৫ জন এক সাথে ট্রাভেল করতে হবে অন্যথায় শেয়ার বাস পাবেন না সৌদি উমরাহ কোম্পানি নিয়ম অনুযায়ী।
- এই প্যাকেজটি যেহেতু ইতিকাফ এর উদ্দেশ্যে সাজানো সুতরাং প্রথম ১০ দিন মক্কা অথবা মদিনা যে কোন স্থানে থাকতে হবে, অবশিষ্ট ৪ দিন আপনার অবস্থান এর উপর নির্ভর করবে। চাইলে সফর সময় বৃদ্ধি করতে পারবেন সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চার্জ প্রযোজ্য হবে।
আপনাদের চাহিদানুযায়ী উমরাহ্ প্যাকেজ অথবা অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আমাদের ওয়েব সাইট এ দেওয়া নাম্বারে যোগাযোগ করুন অথবা অফিস ভিজিট করে আরও বিস্তারিত জানার অনুরোধ রইলো।
ধন্যবাদান্তে বাইতুল্লাহ সফরে আপনার বিশ্বস্ত সহযোগী
(আফিয়া ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম)
যোগাযোগ:
- 09609-010109
- 01724-306402
- 01711-074552
প্যাকেজ মূল্য আলোচনা সাপেক্ষে, দয়া করে নিচের নাম্বার এ যোগাযোগ করুন।
(আফিয়া ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম)
যোগাযোগ:
- 09609-010109
- 01724-306402
- 01711-074552